সোহেল আহসান নিপু : বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি (বিইউ) তে প্রথমবারের মতো জাতীয় আইন সম্মেলন অনুষ্ঠিতহয়েছে। “গেøাবাল সাউথে আইন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা” শীর্ষকএই আয়োজনে আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর
ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের
সাবেক ডীন প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক। মূল প্রবন্ধ উপ¯’াপন করেন সাউথ ইস্ট
ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব। সভাপতিত্ব করেন
বিইউ আইন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মোস্তফা।
মূল প্রবন্ধ উপ¯’াপনকালে প্রফেসর ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব বলেন, দেশে অধিকাংশ মানুষআইন মানতে অনীহা দেখায়, যা পরিবর্তনে সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যাবশ্যক। তিনি বলেন,
মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বজায়ে বিভিন্ন আইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
গেøাবাল সাউথে রাজনৈতিক প্রভাব, দুর্নীতি, ধীর বিচার প্রক্রিয়া এবং জবাবদিহির অভাব
আইনের শাসনকে দুর্বল করে তুলছে। তারপরও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও মানবাধিকার
সং¯’ার উদ্যোগে ইতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মত প্রকাশ
করেন। আইন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারকে শক্তিশালী করেই টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব
বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দেশের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত
করতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে জাতীয়
আইন সম্মেলন ভবিষ্যতে দেশ, জাতি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির উন্নয়নে কার্যকর
ভূমিকা রাখবে।
বিকেলে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন
লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজ সার্ভিসের আইন বিভাগের প্রধান ও প্রতিষ্ঠাতা এবং
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. খালেদ হামিদ চৌধুরী।
সমাপনী বক্তব্যে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী বলেন, সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে
সঙ্গে মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আইনের প্রয়োজন আরও স্পষ্ট হয়েছে। আইনের শাসন
প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই মানবাধিকারসহ সকল নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত করা সম্ভব। তিনি
জানান, একাডেমিয়া, বিচার বিভাগ, আইনজীবী সমাজ ও তরুণ গবেষকদের সমন্বিত
উদ্যোগ একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে পথ তৈরি করবে। আইনকে শক্তিশালী করা এবং
বিচারপ্রাপ্তি সহজ করাই হবে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ।
দিনব্যাপী এই সম্মেলনের দুইটি টেকনিক্যাল সেশনে মোট ১১টি বিষয় নিয়ে আলোচনা
অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিশিষ্ট আইনজীবী, গবেষক এবং শিক্ষকবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন।
শিক্ষার্থীদের গবেষণামূলক চিন্তাভাবনা, বিশ্লেষণী দক্ষতা ও একাডেমিক আত্মবিশ্বাস
বৃদ্ধিতে এ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক,
কর্মকর্তা এবং আইন বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা উপ¯ি’ত ছিলেন।







